বর্ষা মৌসুমে সারাদেশে আস-সুন্নাহর এক লাখ বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি
এবারের বর্ষা মৌসুমে সারাদেশে এক লাখ গাছ লাগানোর টার্গেট নিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় আস-সুন্নাহর চারাগাছ বিতরণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে এই গাছ বিতরণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এসব গাছের চারা। শিক্ষার্থীরা এই চারা রোপণ করছে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে বৃক্ষপ্রেমের বীজ বপন করতেই দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস্তবায়ন করছে এই প্রকল্প।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বৃক্ষের জীবনচক্রে মানুষের জন্য রয়েছে অমূল্য শিক্ষা। বৃক্ষের বেড়ে উঠা, ফুল ফুটানো, ফল ধরা, কার্বন-ডাইঅক্সাইড শোষণ, অক্সিজেন প্রদান, ছায়া দান, জ্বালানি এবং আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য কাঠ সরবারাহ ইত্যাদি সকল বিষয়ই মানুষের কল্যাণের জন্য। অপরের কল্যাণ সাধনই বৃক্ষের জীবনের স্বার্থকতা।
অথচ আমরা নিজেদের জীবনচক্র নিয়ে একটু চিন্তা করি। আমাদের যাপিত জীবনে পড়াশোনা, পরিশ্রম, চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের কতটুকু আমরা দেশ ও জাতির স্বার্থে, মানুষের কল্যাণের জন্য উৎসর্গ করছি?
তিনি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, যদি কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ মুহূর্তেও তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছ থাকে, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। (মুসনাদে আহমদ- ১২৯০২; আদাবুল মুফরাদ; ৪৭৯)
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবুও চলছে বৃক্ষ বিতরণ ও রোপণ কার্যক্রম। আল্লাহ তায়ালা এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিন। প্রতিটি গাছকে আমাদের জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করুন।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন জানায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক শিক্ষা, দাওয়াহ ও মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আর্তমানবতার সেবা, কর্মসংস্থান তৈরি, দারিদ্র্য বিমোচন, বহুমুখী শিক্ষায়ন প্রকল্প পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এ ধরনের কাজের মাধ্যমে একটি আদর্শ ও কল্যাণমূলক সমাজ গড়ে তুলতে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে বেসরকারি এই সেবা সংস্থাটি।