‘আমাকে চ্যালেঞ্জ করবেন না’ হকারদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, ফুটপাতে আমরা সুন্দর করে শহরকে সাজাতে চাই। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। যতক্ষণ আপনারা লিস্ট দিতে না পারবেন, কী করবো। কেউ বলে পাঁচ হাজার, আসলে কত হাজার আছে। কামান চাইলে পিস্তল পাবো এমনটা ভাবলে ভুল। আমাকে চ্যালেঞ্জ করবেন না। আপনারা পাঁচ হাজার হলে ভাবুন, শহরে কত লক্ষ মানুষ। আমরা কাদেরটা দেখবো। আপনারা আমার কথায় রাগ করবেন না। আমি ভালবাসা দিয়ে কথা বলছি। সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করবো। আমাকে একশো এক জনের কমিটি পাঠাবেন৷ আমরা একসাথে বসবো।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে পুনর্বাসনের দাবি জানানো হকাররা তার সাথে দেখা করতে গেলে একথা বলেন তিনি।
হকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাকে তালিকা দাও। একেক জায়গায় একেক ব্যাবসায়ী বসবে। আমার রাস্তা ময়লা হয়। সামনে বৃষ্টির দিন। এই ড্রেনগুলো জ্যাম হয়ে যায়। আমরা যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি তো মানুষের জন্যেই। তোমরা লাথি খাবে কেন। আমরা একটি লাইসেন্স বানিয়ে দেব সেটা নিয়ে বসতে পারবে। তবে এটা হবে না, যে যেভাবে খুশি সেভাবে বসবে। আমি যদি আজকে মুখ খুলি তাহলে পুলিশ লাগবে না। আমার ছাত্রলীগ যুবলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি সবাই একমত। মানুষ কষ্ট করতে পারবে না। মানুষ বেড়ে গেছে তো জায়গা বের করতে হবে। আজ থেকে কোন অশান্তি নয়। আমি চাইলে পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি করিনি।
তিনি বলেন, আমাকে একটু সময় দাও। আমি কেন তোমাদের সাথে যুদ্ধ করবো। তোমরা আমার ভাই। ভোটার হও বা না হও। তোমরা কীভাবে বাঁচবে। আমাদের একটা সমাধান দাও। রেললাইনের এপাশ ওপাশে দুই পাশেই দোকান। নিয়ম করে বসলে এক পাশে বসবে। গাড়ি এক পাশে চলবে। এখানে সময় দাও। প্রয়োজনে আর্থিক সুবিধা দেব। যে সমাধান হবে সেটা হবে পার্মানেন্ট। বঙ্গবন্ধু সড়ক অনেক প্রয়োজন। অনেক বিদেশি লোক আসে এখানে। ব্যাংকে যেতে হয়। নারায়ণগঞ্জে থাকতে হলে আমাদের নারায়ণগঞ্জকে ভালবাসতে হবে৷ আপনারা টাকা অপচয় করবেন না। দরকার হলে মসজিদে টাকা দেবেন। কোথাও টাকা দেবেন না। দরকার হলে আমি টাকা দেব, মেয়রকে বলে সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে টাকা নেব। আমরা তালিকা দেব গ্রুপ ভিত্তিক পাঁচশ করে মানুষের কাগজ দিন। ভুল বুঝবেন না। আমাকে সময় দিন।