অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে: ডিএমপি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় প্রক্টর দীন ইসলাম ও রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে গ্রেপ্তারের পর কমিল্লার কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন। নানা ঘটনা প্রবাহে অবন্তিকা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো বলেও জানান তিনি।

রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

১৫ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার একদিন পর কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তার মা তাহমিনা শবনম। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আসামি করা হয় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজধানী থেকে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ গ্রেফতার করে দুই অভিযুক্তকে। তাদেরকে হস্তান্তরও করা হয় কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায়।

নানা ঘটনা প্রবাহে অবন্তিকা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো। যা তাকে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যায়, প্রাথমিক তদন্তে মনে করে পুলিশ।

এদিকে উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম জানান, অবন্তিকার ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে বড় পরিধিতে তদন্ত করতে হবে। অবন্তিকার মৃত্যু নিয়ে কাজ করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। দ্রুত প্রতিবেদন দেয়ার আশ্বাস উপাচার্যের।

শুক্রবার রাতে কুমিল্লার বাগিচা গাওয়ে নিজের রুমে আত্মহত্যার আগে অবন্তিকা, তার ফেসবুক আইডি থেকে সহপাঠী আম্মান ও প্রক্টরকে দায়ী করে পোস্ট দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button