সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর নজরদারি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আটক
যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত পথে অনুপ্রবেশ রোধে সতর্কতা জারি করেছে ৪৯ ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এরই মধ্যে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও লোকবল। বন্দর এলাকাসহ স্থল ও রেলপথেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিক ভারতে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে ঢাকার নবাবগঞ্জ বন্দুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হালদারকে। বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারত যাচ্ছিলেন।
যশোর বিজিবি ৪৯ ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী পিপি জিএম বলেন, ‘সব সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এইসব সীমান্ত দিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো জনপ্রতিনিধি বা সাবেক কোনো প্রতিনিধি যাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ না করতে পারে সেলক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছি। প্রত্যেক বিওপি পোস্টে পেট্রোল ও অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশন’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজারুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে সীমিত যাত্রী আসছে এবং বাংলাদেশ থেকে মেডিক্যাল যাত্রী যাচ্ছে। তবে সেটাও খুব কম।’ তবে বাংলাদেশ থেকে কোনো সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রী ভারত প্রবেশের ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সাধারণত অবৈধ অনুপ্রবেশ করার মতো জায়গা হচ্ছে- বেনাপোলের পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর ধাণ্যখোলা, রঘুনাথপুর, গোগা, শিকারপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর সীমান্তপথ।