‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ’ -ছাত্রদল সম্পাদক

নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করে জনগণের হাতে সেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। রবিবার (০৩ নভেম্বর)  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের  সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ এবং দর্শনা সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন৷

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করে জনগণের হাতে সেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে হবে।’ নাছির উদ্দীন জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের ‘মুখ্য দালাল’ ছিল বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি  প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের দুষ্কর্ম্মের সহযোগী হওয়ার কারণে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত হয়েছে।’ তবে তিনি জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানান।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে ‘মব কালচার’ সৃষ্টি করে ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড করে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং বাংলাদেশ বিরোধী বিদেশি গোষ্ঠীগুলোর পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া অদূরদর্শী আচরণ।’

এসময়ে ছাত্রদল সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে চান। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাস এবং দখলদারিত্বের রাজনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন বলে মতামত দিলেও ছাত্রদল সম্পাদকের কাছে অতীতে ছাত্রলীগের সময়ে তাদের বিভিন্ন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেন।

 

 

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইতিবাচক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ছাত্রদল কোন দখলদারিত্ব, নির্যাতন, গেস্টরুম কালচার, খুন, ধর্ষণের রাজনীতি প্রশ্রয় দিবে না। ছাত্রদল একুশ শতকের উপযোগী মেধাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ছাত্রদলের রাজনীতিতে নারী শিক্ষার্থীদের যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ছাত্রদল সম্পাদক তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ছাত্রীদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে।

নাছির উদ্দীন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রীদের জন্য বিনা-বেতনে শিক্ষা এবং উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। বিএনপি সরকারের সময়ে দেশে পরীক্ষায় দুর্নীতি বন্ধ করা হয়েছিল, দেশ নকলমুক্ত হয়েছিল। কিন্তু, আওয়ামী লীগ এসে সব পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করেছে। এতে জাতির ভবিষ্যত অন্ধকার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ এবং দর্শনা সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button