চুরির অভিযোগে শিশুর চুল কেটে নির্যাতন করলো পৌরসভার মেয়র
চুরির অভিযোগ এনে ৯ থেকে ১০ বছর বয়সের ৩ শিশুকে হাত বেঁধে মাথার চুল কেটে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নির্যাতণের শিকার শিশু রামচন্দ্রদী গ্রামের একটি মসজিদের ইমাম জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও গোপালদী মাদ্রাসার ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী বায়েজিদ আলম (১০), হাসানের ছেলে ও রামচন্দ্রদী মাদ্রাসার হেফজ্ বিভাগের ছাত্র সিয়াম (৯) ও রমজানের ছেলে একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আফরীদ (৯)।
ওই মেয়রের নাম হালিম সিকদার। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
নির্যাতনের শিকার বায়েজিদ আলমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সকালে মকতব থেকে ফেরার পথে পাশ্ববর্তী বাড়ির একটি শিশুর সাথে আমার ছেলের দেখা হয়। সেই শিশু কয়েকটি নাট বলটু পেয়ে আমার ছেলেকে বলেছে বিক্রি করার কথা। কথা গুলো মেয়রের লোকজন শুনে আমার ছেলেসহ ৩ শিশুকে ধরে নিয়ে যায়। বায়েজিদের চাচা কালাম ও আলামিনের শিশুদের পক্ষে করোজোরে আকুতি মিনতি করলে মেয়র ও তার বাহিনীর নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে পারেনি। আশপাশে অনেক লোক জড়ো হয়। পরে রামচন্দ্রদী বাস স্ট্যান্ডে এনে তাদের মাথার চুল কেটে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকদের দারস্ত হওয়ায় দুপুরে মেয়রের ভাই ও চাচাতো ভাই এসে হুমকি দিয়েছে, তারা বলছে আমার শিশু ছেলে নাকি ৪-৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। মিমাংসা না হলে মামলা করবে। বাড়ি ঘর লুট করবে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার বাড়িতে থাকতে পারছে না। মেয়রের লোকজন তাদের বাড়ির পাশপাশে মহড়া দিচ্ছে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদার বলেন, আমার ৪-৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করেছে, তারা চোর তাই দেখে চুল কেটে দিয়েছি। চুরিও করেছে, এখন আবার আমার নামেই বিচার দিচ্ছে। আমি এখন জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে আছি। জাহাঙ্গীর আলমকে ডাকিয়েছি, মিমাংসা হয়ে যাবে।