সোনারগাঁয়ে উদ্ধারকৃত ‘বন্তাবন্দি লাশ’ এর রহস্য উদঘাটন করলো র্যাব
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্ধি অর্ধগলিত লাশের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব-১১। ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল মনছুরের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের সাথে জরিত মঞ্জুর হোসেন ওরফে মঞ্জু (৪০), অটোরিক্সা ব্যবসায়ী রমজান আলী (২২), মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৫) এবং মোঃ আরিফ (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার র্যাব ১১ এর উপ-পরিচালক একেএম মুনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে ভিকটিম নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের তিন দিন পরও তাকে পাওয়া না গেলে ভিকটিমের মা ছেমনা খাতুন ৯ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে তদন্ত করতে গিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোনারগাঁ সাদিপুর ইউনিয়নের বেইলর এলাকায় রাস্তার পাশে পানিতে বস্তাবন্দী অবস্থায় ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। যা দেখে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন নিখোঁজ আব্দুল্লাহ আল মনসুর এর মৃত দেহ বলে সনাক্ত করে এবং সোনারগাঁ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, লাশ উদ্ধারের একদিন পরেই র্যাব মঞ্জু ও রমজান আলীকে গ্রেফতার করে। পরে এ হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী আরেক আসামী মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৫)কে ১৯ ফেব্রুয়ারি বন্দর কদমরসূলবাগ এলাক থেকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ ২১ ফেব্রুয়ারি হত্যার সাথে জড়িত অপর হত্যাকারী মোঃ আরিফ (২৮)কে ফেনী জেলা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। সে ফেনী জেলায় ছদ্মনামে আত্মগোপন করেছিলো বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।