জাতীয় পার্টির এমপি রুস্তুম আলী ফরাজীকে শোকজ
পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ করেছেন দলের চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সেই শোকজের জবাবও দিয়েছেন সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী। তবে জবাবে সন্তুষ্ট হননি জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ফলে সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও দলীয় সংসদ সদস্যদের যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সংসদে দলীয় সংসদ সদস্যরা সরকারের গুণগান করে বক্তব্য দেবে না। সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে গঠনমূলক বক্তব্য দিতে হবে। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি সরকারের গুণগান করেন। জাতীয় পার্টির শাসন আমলসহ অন্য কোনো বিষয় তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেননি। এতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও অন্য সংসদ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হন ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রতি। এছাড়া দলীয় কোনো কর্মসূচিতেও অংশ নেন না তিনি।
জাপার অন্য একজন সংসদ সদস্য জানান, ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী বাজেটের উপর ১০ মিনিটের উপর বক্তব্য রেখেছেন। পুরো সময়টি তিনি সরকারের গুণগান করেছেন। তার বক্তব্যে মনে হয়েছে তিনি সরকার দলীয় সংসদ সদস্য।
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী ১৯৯৬ সালে পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে পিরোজপুর-৩ থেকে একটি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান থেকে পদোন্নতি পেয়ে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপদেষ্টা হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ এবং দলের প্রভাবশালী একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর জবাবে চেয়ারম্যান জি এম কাদের সন্তুষ্ট হননি। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। এ ধরনের আভাস পাওয়া গেছে।’