বিএনপি ভোট চুরি করেছে: মার্কিন সেক্রেটারিকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ‘নিশ্চিত করতেই’ তিনি রাজনীতি করেন। আর ভোটে ‘কারচুপি করে’ বিএনপি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমা দেশগুলোর নানা তৎপরতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তার সফরকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে তার নিজের ও দলের চেষ্টার কথা তুলে ধরেন বৈঠকে।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, দেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করা তার অঙ্গীকার। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন তারা আগেও করেছেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি এবং তার পরিবার সব সময় মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন।
তিনি বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’, জনগণ তাদের প্রতিনিধি বাছাই করবে। জনগণের এই অধিকার আদায় আমার দল সব সময় সংগ্রাম করেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেখেছি অতীতে বিএনপি কীভাবে ভোট কারচুপি করেছে। আমরা সংগ্রাম করে সেটি পরিবর্তন করেছি। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এটা আমরা চালু করেছি।”
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে পরে সহিংসতার কথাও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৩ ও ১৫ সালে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের নৃশংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অগ্নিসন্ত্রাস করে, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ৫০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, সেটি নিয়ে কথা বলেন আজরা জেয়া।
তিনি বলেছেন, ভিসা নীতি হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও প্রতিশ্রুতি আছে, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করতে এই ভিসা নীতি।
প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেছেন, কোনো দলের প্রতি তাদের কোনো পক্ষপাত নেই। তারা একটা নিরপেক্ষ, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চান।
সরকার পতন ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে এই মুহূর্তে দেশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল। আগামী নির্বাচনে সংস্থাটি পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, সেটি এ দলের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে।
এর মধ্যে দুদিন আগে দেশে আসেন আজরা জেয়া। সঙ্গে আসেন মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডনাল্ড লু এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলী কৌর।
দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মানবাধিকার, শ্রমিক অধিকার, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সঙ্কট রয়েছে তাদের সফরের আলোচ্য সূচিতে।
অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূত পিটার হাস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।