তুচ্ছ ঘটনায় বন্দরে চা দোকানীর লাঠির আঘাতে অটোচালক মাসুদ মিয়ার মৃত্যু

বন্দরে চা দোকানীর লাঠির আঘাতে আহত অটো চালক মো. মাসুদ মিয়া (২৭) ২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে মৃত্যু বরণ করেছে।

গত শনিবার (১২ আগষ্ট) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বন্দর উপজেলার দাশেরগাঁও এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত অটো চালক মাসুদ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পাতাকাটা বৈরাগীর পাড় এলাকার শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে।  রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে পুলিশ লাশের সুরতহাল রির্পোট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় নিহত অটোচালকের পিতা শফিউদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে সুমনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২১(৮)২৩ ।

এদিকে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।  নিহতের ছোট ভাই হাসান গনমাধ্যমকে জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাসুদ অটো মেরামতের জন্য দাশেরগাঁও স্ট্যান্ডে যায়।

এসময় সিঙ্গাড়া চা খাইতে সুমনের চায়ের দোকানে যায়। সিঙ্গাড়ার সাইজ ছোট হওয়ায় সিঙ্গাড়ার দাম জিজ্ঞাস করে। এ নিয়ে দোকানদার সুমন ও মাসুদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দোকানদার মাসুদকে দোকান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।

পরে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর মধ্যে হঠাৎ দোকানদার সুমনের ছেলে আব্দুর রহমান পিছন দিক দিয়ে কাঠের ডাসা দিয়ে অটো চালক মাসুদকে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আনা হয় । রাতে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে মদনপুর বারাকা হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।

সেখান থেকে পর দিন শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপতালে পাঠায় নেওয়া হলে সেখান থেকে এ সময় অটো চালক মাসুদ অতিরিক্ত বমি ও পাতলা পায়খানা করতে থাকে ভিক্টোরিয়া হাসপতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপতাপালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া  জানান, নিহত মাসুদ মুছাপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পাতাকাটা বৈরাঙ্গীরপাড় এলাকার শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে। ঘটনার পরপর দাশেরগাঁও স্থানীয় মাতব্বররা দোকানদার সুমন ও তার ছেলেকে আটক করে রাখে।

পরে স্থানীয় ভাবে উভয়ের মধ্যে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার রাতে মারা যায় অটোচালক মাসুদ।

বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক  জানান, হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ  উদ্ধার করে  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button