বন্দরের হাসিনা অটিজমের শিশু-কিশোরদের সাথে সেতুমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময়

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বৃহত্তম অটিস্টিক প্রতিষ্ঠান হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আনন্দঘন পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে ছিলো অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের আনন্দ সমাবেশ, কেক কাটা, আলোচনা সভা। হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বন্দরে সাবিলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইকবাল আহমেদ।

হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা রহমান সিমুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
আনন্দধামের অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট শেখ জসিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজহিতৈষী আজিজুল ইসলাম বাবু, আনন্দধামের মহাসচিব বাবু বিশ্বজিৎ সাহা, পরিচালক আবদুল কাইয়ুম আল আমিন, আ: আলী, ডা: অমল, প্রনয় দত্তসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের  সদস্যবৃন্দ  সর্বজনাব মুজিবুর রহমান,  খোকন গাজী, মো: মশিউর রহমান, ডা: সামির ইয়াসির, মো: সেলিম, মো: মুজাহিদ, সুমাইয়া রহমান, হোসনে আরা মিনু, মোঃ আল আমিন রাব্বি প্রমুখ।
অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি অটিজম সেবায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সমুহ উল্লেখ্য করে বলেন, আজ অটিজমদের পাশে দাড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দেশের মুল উন্নয়ন স্রোতধারায় প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তাছাড়া আমাদের গর্বের বিষয় এই যে, প্রধানমন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদ  পুতুলের নেতৃত্বে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের মানবিক অধিকার আজ বিশ্ব দরবারে সুসংহত। অটিজম শিশুরা সমাজের বোঝা নয়। এদের সুপ্ত প্রতিভা আছে। তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলে তাদের প্রতিভাকে দেশ জাতীর সার্থে কাজে লাগাতে হবে।
ওবায়দুল কাদের, হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের প্রশংসা করে বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্যেও প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে অটিজম শিশু কিশোরদের মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছে তা অটিজম সেবায় জনগনকে অনুপ্রাণিত করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা রহমান সিমু সম্মানিত  অতিথিবর্গসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,  আজকের এই অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতিই আমাদের জন্যে সব চেয়ে বড় সহায়তা, আজ আমাদের অনুভূতি হয় আমরা একা নই। বিশেষ করে মাননীয় মন্ত্রী জন মানুষের নেতা ওবায়দুল কাদের এমপি মহোদয়ের মত বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের মত ক্ষুদ্র একটি প্রতিষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালী উপস্থিত থেকে  প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের যে মূল্যায়ন করলেন তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এসময় উপস্থিত অতিথি ও অভিভাবকদের সাথে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষয়িত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন। পরবর্তীতে কেক কেটে সবাকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব পরিচালিত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button