তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মরিয়া ভূত হইয়া গেছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নজিরবিহীন, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ‘মরিয়া ভূত হইয়া গেছে’। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এগুলো মাথা থেকে নামান। নয়ত এ ভূতে বিএনপি শেষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এই তত্ত্বাবধায়ক আর কোনোদিন চোখ মেলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনে বিএনপি না এলে আমও যাবে, ছালাও যাবে। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। ভারতে এক সেলফি, এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অন্তরে জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মেট্রোরেল হয়ে গেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে এক’শ সেতুর উদ্বোধন। জ্বালারে জ্বালা, অন্তরে জ্বালা। তারা খাম্বা দিয়েছে বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবেন। এই নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দিবে। আগুন নিয়ে আসলে হাত পুড়িয়ে দেব। লাঠি নিয়ে আসলে হাত ভেঙে দেব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ওরা গণতন্ত্রের কী জানে। ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোট চুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদেরকে বলছি বিএনপি থেকে সাবধান।ক্ষমতার স্বপ্ন দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। ফখরুল সাহেব, দিল্লি বহুদূর। ক্ষমতার পথ আপনারাই বন্ধ করে দিয়েছেন। পিটার হাস কী করবেন? ভিসা নীতি দেবেন? নিষেধাজ্ঞা দেবেন? পিটার হাস সাহেবের মুরুব্বিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গেছে। আমেরিকার মুরুব্বি যারা, তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ। উচ্চ পর্যায়েও কথাবার্তা হয়ে গেছে। তলে তলে যখন সব শেষ, তখন আর এসব করে লাভ কী? পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন, ঢাকায় তাণ্ডব করবেন, সেই খেলা খেলতে দেব না। সেই খেলা সন্ত্রাসের খেলা।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী মুলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখন কোয়ার্টার ফাইনাল, সামনে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে জানুয়ারিতে। খেলা হবে সারা ঢাকায়, খেলা হবে চট্টগ্রামে, খেলা হবে সিলেটে, খেলা হবে রাজশাহীতে, খেলা হবে বরিশালে, খেলা হবে খুলনায়, খেলা হবে সারা বাংলায়। ঠিক আছে? ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে হবে। এখনই ক্লান্ত হলে চলবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বেঁচে থাকলে এই দেশে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন হবে, শান্তিপূর্ণ হবে। এদেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। এদেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবেন। দুনিয়াব্যাপী আপনারা বদনাম করেছেন, দেশে দেশে বদনাম করছেন, বদনাম গোছানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন, যে নির্বাচন হবে নজিরবিহীন। ফখরুল সাহেব হারালে আর পাবেন না।
তিনি বলেন, প্রস্তুত থাকতে হবে, সবদিক থেকেই খেলা হবে। ওরা ফাউল করবে, ফাউলের জবাব দিতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে।
শান্তি সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, সোনারগাঁ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও সোনারগাঁ উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এম.পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এম.পি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ. কে. এম শামীম ওসমান এম.পি, নাঃগঞ্জ সিটি মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) এম.পি, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাঃ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাঃ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বাংলাদেশ মহিলা আ.লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি, সাঃ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাঃ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সোনারগাঁ উপজেলা আঃলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.সামসুল ইসলাম ভুইয়া।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণার উপ কমিটির সদস্য এ এইচ এম মাসুদ দুলাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাজ্বী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু, যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সা.সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দার, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সনমান্দী ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, কাঁচপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফা কামাল নিলু, জামপুর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূইয়া, বারদী ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, বৈদ্দ্যের বাজার ইউপি আল আমিন সরকার, এ্যাড. নুর জাহান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম রুমা, মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আহমেদসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।