নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চায় খেলাফত মজলিস
স্টাফ রিপোর্টার: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এই দাবীতে দেশের সকল মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। সরকার নিজেদের স্বার্থে বহুবার সংবিধান সংশোধন করেছে। এখন দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে আবারো সংবিধান সংশোধন করতে হবে। দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন একটি সরকার ছাড়া এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশ এক গভীর সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। একদিকে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, অপরদিকে দেশের টাকা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলগুলোকে দমনের জন্য সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। বিরোধী দলগুলোর সমাবেশের একইদিনে সরকারি দল পাল্টা সমাবেশ ডেকে রাজধানী ঢাকার পরিবেশকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে। সরকার দাবি করছে তাদের উপর জনগণের সমর্থন আছে, অথচ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। কারণ তারা নিজেরাও ভালো করে জানে, সুষ্ঠও নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
২৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায়, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন বলেন, বর্তমানে এই সংকট তৈরি করেছে সরকার, তাই সরকারকেই এর সমাধান করতে হবে। জুলুম করে শাসন দীর্ঘায়িত করা যায় না। তাই দ্রুত পদত্যাগ করে জুলুম থেকে মানুষকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দী ও আলেমদের মুক্তি দিন। তফসিল ঘোষণার পূর্বেই ক্ষমতা দলনিরপেক্ষ সরকারের হাতে হস্তান্তর করুন। শান্তি ও সম্প্রীতির স্বার্থে জনগণের দাবি মেনে নিন।
খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মিজানুর রহমানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সদর থানা সভাপতি হাফেজ কবির হোসাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ।
গণ মিছিলে নেতৃবৃন্দের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ শাহ আলম, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মুনঈম, বন্দর থানা পূর্ব শাখা সভাপতি মুফতী আবুল কাসেম, পশ্চিম শাখা সভাপতি মাওলানা ফরিদুজ্জামান, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর আহবায়ক প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ শাহ নেওয়াজ, শ্রমিক মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আলতাফ খান, প্রমুখ।
গণ মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে চাষাঢ়া হয়ে ডিআইটি মসজিদের সামনে গিয়ে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।