বিরোধী কর্মীদের হত্যা, আটক এবং সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে মিলার
সংলাপেই সমাধানের পথ; সরকার, বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের সাথে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে জনগণের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার, বিরোধীদল সিভিল সোসাইটি এবং অন্যসব অংশীদারদের সাথে সব ধরণের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরোধীদলের সঙ্গে সংলাপের আহবান প্রত্যাখান, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদলের চলমান অবরোধে গুলি করে দুই নেতাকে হত্যা করা প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের জানান দেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সংলাপে বসার আহবানের জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপ করেন, তবে তিনি বিরোধীদলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।” তিনি বিরোধীদলের সঙ্গে সংলাপে বসার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন। ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধীদলের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। আজও বিরোধীদলের বিক্ষোভে গুলি করে দুই নেতাকে হত্যা করেছে পুলিশ । ঢাকায় দুই বিরোধি দলীয় শীর্ষ নেতা (মির্জা আব্বাস ও এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?”
জবাবে মিলার বলেন, “আপনার প্রশ্নের প্রথম অংশ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এর পরিবর্তে যেটা বলবো সেটা হলো– অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেটা প্রয়োজন তা হল– আমরা বিশ্বাস করি এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংলাপই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলবো–আমরা বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। জানুয়ারির নির্বাচনের দিকে আমরা খেয়াল রাখছি। সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা খুব নিবিড় ভাবে দেখছি। আমরা এ বিষয়ে যোগাযোগ করছি। আমরা সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সব ধরণের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছি
এবং আহবান জানাচ্ছি তারা যেনো বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য এক হয়ে কাজ করেন”।