চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া অজ্ঞাতনামা সেই ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে
সাজিদ সামী চৌধুরী, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান আজ ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) হাটহাজারী মহাসড়কে বাস-সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত হওয়া ৭ জনেরই পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু, দুইজন নারী, ও দুইজন পুরুষ রয়েছেন। নিহতরা হলেন, রিতা (৪০), শ্রাবন্তী (১৮), বাপ্পা (৩২), বিপ্লব (২৭), বরষা (১০), দীপ (৩), দিগন্ত (৩)। নিহতদের ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা গেছে, তাদের বাড়ি চন্দনাইশ, কাঞ্চননগর বাদামতলের পশ্চিমে ধোয়া পাড়া। তারা ফটিকছড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের শাহ নগরে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলো। তারা সকলেই একই পরিবারের সদস্য।
উক্ত ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জনাব মোঃ আলী মর্তুজা দৈনিক ন্যায়ের আলোকে বলেন, “এই রোড বর্তমানে একটা মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই এই রোডের কোনো না কোনো অংশে ছোটবড় এক্সিডেন্ট হচ্ছে। রাস্তায় ডিভাইডার না থাকা এর মূল কারণ বলে আমি মনে করি। আর রাস্তা ভালো হওয়ায় সব ড্রাইভারই বেপরোয়া গাড়ি চালায়।”
নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর অর্থনীতি বিভাগের ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী জনাব পেয়ারুল ইসলাম দৈনিক ন্যায়ের আলো-কে বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটে তবে যখন একটা প্যাটার্ন মেনে ধারাবাহিকভাবে দুর্ঘটনা হয় সেখানে কিন্তু থেকে যায়। হাটহাজারী-ফটিকছড়ির জনগণ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন মাধ্যমে এই রাস্তায় ডিভাইডার দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বলে জানি। এখানে এসব বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা আছে কি-না খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি। এতগুলো মূল্যবান প্রাণ ঝরেছে, আমরা চাইনা কারো উদাসীনতার জন্য আরো প্রাণ ঝরুক।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি সড়ক ব্যবস্থাপনায়ও জোর দেওয়া উচিৎ। নাহলে এ-ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আরো ঘটতেই থাকবে।